Tuesday, September 11, 2012

সম্রাট নিরো ও পূজো কমিটি


ধর্মতলার মোড়ে এখন পাটভাঙ্গা ইজ্জত বিক্রি হয়। "গলানো সোনা আঠাশ টাকা" আর "খোয়ানো ইজ্জত বিশ হাজার"। ফেরিওলার হাঁক শুনে বুদ্ধিজীবীরা দ্বার রুদ্ধ করে পুজোসংখ্যার উপন্যাসের খসড়ায় মন দিলেন। কবি তাঁর প্রেয়সীর কপালে চূর্ণকুন্তল কোন মায়াজাল রচনা করেছে সেই কল্পনায় ডুব দিলেন।


পাড়ার ক্লাবের সেক্রেটারি ন্যাড়া, চম্পার চায়ের দোকানে (ছেলে-ছোকরারা ভালোবেসে বলে CCD) বসে রেট চার্টে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিল। আজ খবরের কাগজেও দিয়েছে। পাকা মাল বিশ হাজারে, কচি হলে তিরিশ। পাশের টেবিলে দুগ্গাপুজো সমিতির মাননীয় সভাপতি শ্রী অমুকরঞ্জন তমুক লেবু চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন, বুঝলে কিনা, এ বছর যদি চন্দননগর-এর লাইটিং-এ এই থিমটা নামানো যায়, গোটা তিনেক প্রাইজ না এসে যায় না! ওই "সুস্থ চেতনার পুজো" পুরস্কার যদি এবার না নিয়ে আসি, তবে আমার নামে কুকুর পুষিস।

সম্রাট নিরো আজও বেহালা বাজান।